মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার জেলেরা Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:




মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার জেলেরা

মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার জেলেরা




বরগুনা সংবাদদাতা:  একের পর এক মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞায় হতাশ হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকার জেলেরা। জেলেরা বলছেন, ৮ মাসের জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগেই আবারও নতুন করে এ বছর শুরু হয়েছে মাছ ধরার উপরে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা। এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে পথে বসতে হবে জেলে ও মৎস্যজীবিদের। তাই সরকারের এবারের স্বিদ্ধান্ত মানতে নারাজ জেলেরা।

প্রতি বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম অক্টোবরের ১ তারিখ থেকে ২২ তারিখ পর্যন্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার। এর পরেই ইলিশ সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে নভেম্বরের ১ তারিখ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত টানা ৮ মাস জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা। তবে এ নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার আগেই চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে জুলাই মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত আবার ৬৫ দিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার।

শহিদুল ইসলাম, আলম মাঝি, ফারুক প্যাদা, নজরুল চৌকিদার, বাবুল মাঝিসহ গভীর সাগরের একাধিক জেলেরা বলেন, এই ৬৫ দিন মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে বছরের ১২ মাসের তিন মাস মাছ ধরতে পারবেন তারা, বাকি ৯ মাস মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে তাদের। পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবেনা তাদের।

ফের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার স্বিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে মৎস্যজীবি ট্রলার মালিকরাও। বাংলাদেশ উপকূলীয় মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরী বলেন, কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে একটি ট্রলার নির্মাণ করেন তারা। তবে সরকার এই স্বিদ্ধান্ত পরিবর্তন না করলে তাদেরও পথে বসতে হবে। তাই এই ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে মানবেনা তারা। প্রয়োজনে জেলেদের সাথে ট্রলার মালিকরাও সাগরে যাবে।

এদিকে জেলে ও মৎস্যজীবিদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধন বিক্ষোভ মিছিলসহ বিভিন্ন আন্দোলনে নেমেছেন পাথরঘাটার ব্যবসায়ীরা। পাথরঘাটা ব্যাবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে পুরো দক্ষিণ অঞ্চল। তাই যে কোন মূল্যে এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।

তবে বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাগরে মাছ ও জলজ প্রাণীর ইকোসিষ্টেম রক্ষার জন্য ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিকল্প নেই। সরকার ভেবে চিন্তেই এ স্বিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে জেলে ও ট্রলার মালিকদের সাথে কথা বলবেন তারা। তারপরেও কেউ মাছ ধরলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD